রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতের পর থেকে আরো নতুন নতুন এলাকায় পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। নদী ও খালের বেড়িবাধ ভেঙ্গে ঢলের পানি ঢুকে পড়ছে গ্রামে। গত দুইদিনে পাহাড় ধ্বস ও পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে।
কক্সবাজার প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, রামু সদর উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের ৯০ গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে এসব এলাকার দুই লক্ষাধীক মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। মাতামুহুরী নদী ও বাকখালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাতামুহুরি নদীর কমপক্ষে ১০ টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এসব ভাঙ্গণ দিয়ে লোকালয়ে ঢলের পানি ঢুকে নতু নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে কক্সবাজারে টানা ভারী বর্ষণ হচ্ছে। একই সাথে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে নেমে আসছে। গতকাল সোমবার রাত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে চকরিয়া উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, হারবাং, পুর্ববড় ভেওলা, বিএমচর, পশ্চিম বড়ো ভেওলা, চিরিঙ্গা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, ফাসিয়াখালী চকরিয়া পৌরসভা, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন রামু উপজেলার গর্জনিয়া কচ্ছপিয়া কাউয়ার রাজারকুল ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। এসব গ্রামের সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলা কর্মকর্তা জামাল মোর্শেদ জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি জানান মাতামুহুরি নদীর ঢলের পানির তোড়ে কইন্যারকুম, বিএমচর, মেহেরনামা বেরি বাঁধ ভেংগে গেছে। এ ছাড়া আরো একাধিক এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান জানিয়েছেন পাহাড়ি ঢলের পানি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় এই বন্যা দেখা দেয়। পাহাড়ী ঢলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করা লোকজনকে সমতলের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা জানিয়েছেন পাহাড়ি ঢলে এই উপজেলার রাজাখালী, উজানটিয়া মগনামা, টৈটং, বারবাকিয়া, শিলখালীর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ভয়েস/আআ